প্রকাশিত: ২৩/০৪/২০১৮ ৭:১৯ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৪৭ এএম

হুমায়ুন রশিদ,টেকনাফ::
টেকনাফে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এক পেশাদার মানব পাচারকারী দালাল আনরেজিষ্টার্ড এক রোহিঙ্গা নারীকে টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশী সাজিয়ে পাচারের পায়তারা করছে। এই ব্যাপারে ভূক্তভোগী রোহিঙ্গা তরুণের পরিবার ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়,টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আই-ব্লকের ৫৫০/০৪ নং শেডের বাসিন্দা মকবুল আহমদের পুত্র মোঃ সালাম সম্প্রতি সৌদিয়া থেকে ফিরে আসে। ক্যাম্পে কিছুদিন অবস্থান করার পর হঠাৎ ক্যাম্পের বাইরে অবস্থানকারী পশ্চিম লেদার শিয়াইল্যাঘোনায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা রহমত উল্লাহর মেয়ে রোজিনা আক্তার (১৭) কে বিমানযোগে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরীর জন্য ঢাকায় অবস্থান করছে। পাসপোর্ট অফিস সংশ্লিষ্ট কতিপয় দালাল মোটাংকের বিনিময়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার সুবাদে রোহিঙ্গারা টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ পাসপোর্ট পেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। পাসপোর্ট হাতে পেলেই মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা দালাল মোঃ সালামের বড় ভাই দালাল নুর করিমের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর লাভজনক মূল্যে বিয়ের নামে বিভিন্ন প্রবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পাচার করে আনা নারীদের। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত দালাল মোঃ সালামের মুঠোফোন (০১৮২৪-৬৩৫২২৮) নিকট জানতে চাইলে গাড়ির হর্ণ ও পারিপার্শ্বিক শব্দ দূষণের অজুহাতে কেটে দেন।
এদিকে পাচারের অপেক্ষায় থাকা রোহিঙ্গা যুবতী রোজিনার সাথে একই ব্লকের এমআরসি নং-১২৩৯৭, শেডনং-৫২৭/১ এর বাসিন্দা রেহেনা বেগমের মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ রফিক (২০) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়ার জন্য কথা-বার্তা পাকা-পোক্ত করে দেন-মোহর ধার্য্য করা হয়। যতদিন রফিক মালয়েশিয়া থেকে ফিরে না আসবে তত দিন হবু বধুকে শ্বাশুড় বাড়িতে রাখার সিদ্বান্ত মতে নতুন শ্বাশুড় বাড়িতে অবস্থান নেয়। ইতিমধ্যে সৌদি ফেরত মানব পাচারকারী দালাল মোঃ সালাম মেয়ের পিতা রহমত উল্লাহকে টাকার প্রলোভনে ফেলে কয়েক দিন পর শ্বাশুড় বাড়ি হতে ফেরত নিয়ে মেয়েকে বাংলাদেশী পাসপোর্টে তৈরীর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য দালালের হাতে তুলে দেন। তাই দালাল মোঃ সালাম এখন ঐ রোহিঙ্গা মেয়েকে নিয়ে পাসপোর্ট তৈরীর জন্য ঢাকার বিভিন্ন স্থান চষে বেড়াচ্ছে। এদিকে মেয়ে বিয়ের নামে মোহরানা গ্রহণ করার পর প্রতারণা করে দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া পাচারের প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগী রেহেনা বেগম নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান,এই ব্যাপারে অভিযোগ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা কৌশল পরিবর্তন করে আকাশ ও সাগর পথে বিভিন্ন দেশে দালালের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পাঠকের মতামত

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...